, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


বাফুফের ৪ কোটি টাকা চাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

  • আপলোড সময় : ২০-০৬-২০২৩ ০৯:৩৪:৩০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৬-২০২৩ ০৯:৩৪:৩০ পূর্বাহ্ন
বাফুফের ৪ কোটি টাকা চাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
চলতি বছরের বাকি সময়ে বাফুফের সামনে ১৪টি আন্তর্জাতিক ইভেন্ট রয়েছে। সবগুলো ইভেন্টে অংশ নিতে হলে ৭ কোটি টাকা প্রয়োজন। এরমধ্যে তিন কোটি ফিফা-এএফসি দিলেও বাকিটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। বিষয়টি নিয়ে নানা কথা বলেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

গতকাল সোমবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভা শেষে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'আমার কাছে মনে হয়েছে ফুটবল ফেডারেশনের সবসময় একটা পরিকল্পনার অভাব আছে। ভবিষ্যতে তারা কী করবে, তাদের কী কাজ, কোন কোন টুর্নামেন্টে অংশ নেবে, সেই ভবিষ্যত পরিকল্পনাটা ওনারা হয়তো সঠিকভাবে করছে না বলে মনে হয়।’

এদিকে অর্থ চাওয়ার বিষয়টি এক মাস আগে হলে বিষয়টি আরও সহজ হতো বলে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর মত, ‘বছরের মাঝামাঝি সময়ে এরকম কথা বলা। আমাদের কিন্তু ভালো একটা সুযোগ ছিল, যদি একটা মাস আগে বলতো, বাজেটের মধ্যেই আমরা সেটা ঢুকিয়ে দিতে পারতাম। পুরো টাকাটাই কিন্তু তখন আমরা তাদেরকে দিতে পারতাম।’

তারপরও বাফুফে থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার পর পুরো বিষয়টি দেখবেন বলে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ‘তাদের কাছ থেকে যদি কোনও আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনা আসে, যেটা খুবই জরুরি, যে খেলাটি না খেললেই নয়, সেটা আমরা চেষ্টা করে দেখবো। যে বাজেট দেওয়া হয়, সেই বাজেটের অর্থ কোন কোন খাতে খরচ করবো, তা আগে থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগটা আমাদের নেই।’

অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাফুফের হয়ে চিঠিও লিখবেন জাহিদ আহসান, ‘আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে অবশ্যই লিখবো যাতে তারা এ বিষয়ে সহায়তা করেন। তবে বিষয়টি অনেক সহজ হতো, যদি বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সেখানে অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারতাম। অন্য ফেডারেশনগুলো সারা বছর কী কী খেলায় অংশ নেবে, সেগুলো কিন্তু ইতোমধ্যে যুক্ত করে ফেলেছি। সেক্ষেত্রে ফুটবলটাও যুক্ত করতে পারতাম। যেহেতু তারা পরে চেয়েছে, তাই একটু কষ্ট হয়ে যাবে। তবে জরুরি যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু, না করলেই নয়, সেটা অর্থ মন্ত্রণালয়ে লিখবো যাতে একটা অংশ তাদের দেওয়া যায় কী না।’ 

বাফুফের কাছে আরও স্বচ্ছতা আশা করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তারা কোন খাতে কী পরিমান অর্থ খরচ করেন সেটাও জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি, ‘তারা ফিফা-এএফসি থেকে কী ধরনের অর্থ পায়, এটা কিন্তু সরকারের একটা পর্যায় থেকে কোনও কিছুই জানতে পারি না। উনারা কত টাকা পেলেন, কোথায় খরচ করলেন, কোথা থেকে কোথায় ব্যয় করলেন, সেটা কিন্তু আমরা জানতে পারি না। উনারা কেবল আমাদের কাছে চান। কোথায় খরচ করছেন সেটা সরকারের এবং ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক হিসেবে আমাদের জানার অধিকার রয়েছে। আশা করছি তারা এ বিষয়গুলো আমাদের জানাবেন। সেটা জানলে হয়তো আমরাও তাদের আরও বেশি সহায়তা করতে পারবো।’

অর্থের জন্য বাফুফের আরও সচেষ্ট হওয়া উচিত বলে মনে করছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘অবশ্যই তাদের আরও একটু চেষ্টা করা উচিত। কারণ এটা এত জনপ্রিয় একটা খেলা, ফুটবলটা নিয়ে এখন এত বেশি কথা হচ্ছে, এতে আমাদের ফুটবলের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। কিছু মানুষের জন্য খেলাটার ক্ষতি হচ্ছে। আমি মনে করি খেলাটা নিয়ে যদি একযোগে কাজ করতে পারি, নতুন করে শুরু করতে পারি, ফুটবলটাকে এগিয়ে নিতে পারি, তাহলে অনেক কাজই সহজ হয়ে যাবে। যে জটিলতাগুলো আছে, সেগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।’
সর্বশেষ সংবাদ